শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৩

পাবনা জেলার নগরবাড়ী ঘাট

পাবনা জেলা নগরবাড়ীঘাট সম্পর্কে ধারণা।

পাবনা জেলা বেড়া থানার জাতসাখিনী ইউনিয়নের যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত নগরবাড়ী ঘাট। এক সময়ে খুব বাংলাদেশের উল্লেখ যোগ্য অন্য অন্য যায়গার মতো ছিল এই যায়গাটি ছিল খুব নামকরা। ১৭ টি জেলার সংযোগ স্থল ছিল নগরবাড়ী ঘাট। যেখানেছিল ফেরী ঘাট, লঞ্চ ঘাট, নৌকা ঘাট, এক সময় উত্তর বঙ্গের যত মানুষ ছিল সবার যাতায়াত ছিল এই নগরবাড়ী ঘাটের উপর দিয়ে, উত্তরবঙ্গের প্রতিটি মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যাম ছিল এক সময়ের এই উল্লেখ যোগ্য যায়গা। কোন কিছুর অভাব ছিল না এখানে। সব কিছুই হাতের নাগালে পাওয়া যেত। এখানকার দই,মিষ্টির চাহিদাও ছিল প্রচুর। নিখিল মিষ্টান্ন ভান্ডারের রসমালাই ও সন্দেস এর জুরি ছিল না। ছিল সারের ব্যাবসা, কাঁচা মালের ব্যাবসা, পাইকরী অনেক কিছুর সমাগম ছিল এখানে। তখন নগরবাড়ীর মানুষের কোন অভাব ছিল না। হঠাৎ করে যমুনা সেতু যেন নিয়ে এলো নগরবাড়ী ঘাটের কাল। নিমেশই ধংস্স হয়ে গেল এই জায়গাটি। ব্যাবসা, বাণিজ্য, আর মানুষের সৌখিন চলাচল। আজ নগরবাড়ী ঘাট আর আগের মত নেই। নেই সেই প্রাণ চানচাঞ্চল্যাকর অবস্থা। আজ যমুনা সেতু যেমন মানুষকে উপকার করেছে তেমনি অপকার করেছে।  রাতে নাইট কোচ গুলি দুরদূরন্ত থেকে এসে ভির জমাতো ফেরী ঘাটের লাইনে নাটিয়াবাড়ী বাজার, স্কুল মোড়, চেইবাড়ী ব্রিজ, ও মুজিব বাঁধ, হতে রঘুনাথপুর, পর্যন্ত থাকতো গাড়ী গুলির সিরিয়াল যখন ছোট বেলায় স্কুলে যেতাম তখন দেখতাম। এবং গাড়ী গুলি গননা করতাম, কত মজা হতো তখন। নিমেষই ফেরী আসরে গাড়ী গুলো একের পর এক ফেরীতে পার হয়ে আরিচাঘাট হয়ে চলে যেত ঢাকায়। হাজারো ট্রাক, বাসে ছিল মুখরিত এই যায়গায়। কিন্তু আজ যমুনা সেতুর কারণে এই যায়গাটির হয়ে গেছে অবহেলিত। তবু এখানকার মানুষের জীবণ যাত্রা পিছিয়ে নেই। ঐতিহ্য বাহী ধোবাখোলা করনেশন উচ্চ বিদ্যালয় টি এখনো পাবনা জেলার উল্রেখ যোগ্য ফল প্রকাশ করে। এখানকার অনেক ছাত্র ছাত্রী এখন বাংলাদেশের অনেক উল্রেখ যোগ্য স্থানে আছে, অনেক ডাক্তার, ইজ্ঞিনিয়ার, সচিব, ইত্যাদি হয়েছে। অনেকের ধারণা নগরবাড়ী ঘাট যমুনা সেতু হওয়ার কারণে পিছিয়ে গেছে এই উক্তিটি ভূল, যমুনা সেতু হওয়ার কারণে নগরবাড়ীর তেমন কিছুই প্রভাব পরে নাই।