বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৩

পাবনা বাস সার্ভিস

পাবনা জেলায় যেমন অনেক ঐতিহ্যবাহী অনেক কিছুই আছে তেমনি আছে ভিআইপি লেটেস্ট বাস সার্ভিস যারা ঢাকা , চট্টগ্রাম, সিলেট রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর,দিনাজপুর, ঠাকুরগাও, কক্সবাজার, ইত্যাদি সকল জেলা থেকে এসি,নন এসি বাস। যেমন প্রথমেই আছে পাবনা জেলার অন্যতম ক্লাসিক বাস পাবনা এক্সপ্রেস প্রতি ৩০ মিনিট পর পর ছেরে যায় টেকনিক্যাল মোড় গাবতলী থেকে মোহনা পেট্রল পাম্প থেকে এই কোচটিতে আপনি এসি/নন এসি হিনো ওয়ান জে প্লাস বাস পাবেন। আবার শ্যামলী পরিবহন পরিবহন জগতে এক ধাপ এগিয়ে আভ্যান্তরিণ ও আর্ন্তঃজাতিক মানের এই গাড়িটিতে আপনি পাবেন এসি/নন এসি আর,এম২ও৩ হাইফাই সীট সিস্টেম,ভিডিও, বাস দিবা রাত্রী চলাচল করে ছাড়িবার স্থান টেকনিক্যার মোড় বাস স্ট্যান্ড, কিংস পরিবহন এটি সম্পুর্ন নন এসি হিনো ওয়ানজে বাস দিনে ২ ঘন্টা পর পর ছাড়ে, রাজাবাদশা পরিবহন, এটি নন এসি হিনো সুপারস্যালুন চেয়ার কোচ, এটি ও সারাদিন চলে, সানমুন এন্টারপ্রাইজ, হিনো লেটেস্ট বাস সার্ভিস এটি সারাদিন ২ ঘন্টা পরপর ছাড়ে। আপনি যদি সিলেট বা চট্টগ্রামে যান তাহলে প্রতিদিনিই পাবনা থেকে কাশিনাথপুর, বেড়া, শাহজাদপুর হয়ে ছেড়ে যায় শ্যামলী পরিবহনের ২ টি হিনো ওয়ানজে লাক্সারী বাস। ছাড়ে সন্ধ্যো ৬.৪৫ মিঃ আবার পরিবহন জগতের আরো এক অনন্য নাম কেয়া পরিবহন জাপানী হিনো ও দায়ো ইঞ্জিন বর্তমান (বি,আর,টি,সি বাস ইঞ্জিন) চালিত ক্লাসিক এবং লাক্সারী চেয়ার কোচ নাটোরের দয়ারামপুর হতে পাবনা ,কাশিনাথপুর,বেড়া হয়ে ছেড়ে যায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। তাছারা অল্প সময়ে ঢাকা থেকে পাবনা বা পাবনা থেকে ঢাকা আসতে চাইলে পরিবহন জগতের ঝর তোলানো বাস সার্ভিস নাইট ষ্টার পরিবহনের জুরি নেই সম্পূর্ণ হিনো ওয়ান জে প্লাস বিলাস বহুল ও আরাম দায়ক ডিজিটাল ভিডিও কোচ, যেন সড়ক পথে বিমানের ছোঁয়া। যারা বেড়া, নাকালিয়া, সাঁথীয়া, নন্দনপুর, যাবেন তারা যেতে পারেন আলহামরা পরিবহন সম্পূর্ণ নন ষ্টপ হিনো, ইসুজু  বাস। নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের প্রতিক। যারা পাবনা হতে সরাসরি নারায়ণগঞ্জ, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা, বাসবো যাত্রাবাড়ী যাবেন। তাদের জন্য রয়েছে মহানগর এম,পি সাফারী এবং মহানগর এমপি সিডর, হিনো ওয়ানজে প্লাস, টাটা টি,সি পাওয়ার স্টিয়ারিং বাস সরাসরি নিয়মিত চলাচল করে। এবং যারা অল্প টাকার মধ্যে ঢাকা হতে পাবনা বা পাবনা হতে ঢাকা যেতে চান, তাদের জন্য আছে রাজদূত পরিবহন, ইশা পরিবহন, কাব্য ট্রাভেলস, বাদশা পরিবহন, ববি এক্সপ্রেস, ইত্যাদি বাস গুলো ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ঢাকা গাবতলী পর্যন্ত যাওয়া যায়।এবং যারা গাজীপুর ,ঘোড়াশাল, পাচদোনা, নরসিংদী যাবেন তাদের জন্য আছে মাছরাঙ্গা পরিবহন সম্পূর্ণ গেটলক হিনো বাস সার্ভিস। পরবর্তী পোষ্ট এ গাড়ীর ছবি দেয়া হবে।

শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৩

পাবনা জেলার নগরবাড়ী ঘাট

পাবনা জেলা নগরবাড়ীঘাট সম্পর্কে ধারণা।

পাবনা জেলা বেড়া থানার জাতসাখিনী ইউনিয়নের যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত নগরবাড়ী ঘাট। এক সময়ে খুব বাংলাদেশের উল্লেখ যোগ্য অন্য অন্য যায়গার মতো ছিল এই যায়গাটি ছিল খুব নামকরা। ১৭ টি জেলার সংযোগ স্থল ছিল নগরবাড়ী ঘাট। যেখানেছিল ফেরী ঘাট, লঞ্চ ঘাট, নৌকা ঘাট, এক সময় উত্তর বঙ্গের যত মানুষ ছিল সবার যাতায়াত ছিল এই নগরবাড়ী ঘাটের উপর দিয়ে, উত্তরবঙ্গের প্রতিটি মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যাম ছিল এক সময়ের এই উল্লেখ যোগ্য যায়গা। কোন কিছুর অভাব ছিল না এখানে। সব কিছুই হাতের নাগালে পাওয়া যেত। এখানকার দই,মিষ্টির চাহিদাও ছিল প্রচুর। নিখিল মিষ্টান্ন ভান্ডারের রসমালাই ও সন্দেস এর জুরি ছিল না। ছিল সারের ব্যাবসা, কাঁচা মালের ব্যাবসা, পাইকরী অনেক কিছুর সমাগম ছিল এখানে। তখন নগরবাড়ীর মানুষের কোন অভাব ছিল না। হঠাৎ করে যমুনা সেতু যেন নিয়ে এলো নগরবাড়ী ঘাটের কাল। নিমেশই ধংস্স হয়ে গেল এই জায়গাটি। ব্যাবসা, বাণিজ্য, আর মানুষের সৌখিন চলাচল। আজ নগরবাড়ী ঘাট আর আগের মত নেই। নেই সেই প্রাণ চানচাঞ্চল্যাকর অবস্থা। আজ যমুনা সেতু যেমন মানুষকে উপকার করেছে তেমনি অপকার করেছে।  রাতে নাইট কোচ গুলি দুরদূরন্ত থেকে এসে ভির জমাতো ফেরী ঘাটের লাইনে নাটিয়াবাড়ী বাজার, স্কুল মোড়, চেইবাড়ী ব্রিজ, ও মুজিব বাঁধ, হতে রঘুনাথপুর, পর্যন্ত থাকতো গাড়ী গুলির সিরিয়াল যখন ছোট বেলায় স্কুলে যেতাম তখন দেখতাম। এবং গাড়ী গুলি গননা করতাম, কত মজা হতো তখন। নিমেষই ফেরী আসরে গাড়ী গুলো একের পর এক ফেরীতে পার হয়ে আরিচাঘাট হয়ে চলে যেত ঢাকায়। হাজারো ট্রাক, বাসে ছিল মুখরিত এই যায়গায়। কিন্তু আজ যমুনা সেতুর কারণে এই যায়গাটির হয়ে গেছে অবহেলিত। তবু এখানকার মানুষের জীবণ যাত্রা পিছিয়ে নেই। ঐতিহ্য বাহী ধোবাখোলা করনেশন উচ্চ বিদ্যালয় টি এখনো পাবনা জেলার উল্রেখ যোগ্য ফল প্রকাশ করে। এখানকার অনেক ছাত্র ছাত্রী এখন বাংলাদেশের অনেক উল্রেখ যোগ্য স্থানে আছে, অনেক ডাক্তার, ইজ্ঞিনিয়ার, সচিব, ইত্যাদি হয়েছে। অনেকের ধারণা নগরবাড়ী ঘাট যমুনা সেতু হওয়ার কারণে পিছিয়ে গেছে এই উক্তিটি ভূল, যমুনা সেতু হওয়ার কারণে নগরবাড়ীর তেমন কিছুই প্রভাব পরে নাই।